৭৫ এর ষড়যন্ত্রকারীরা বোকার স্বর্গে বাস করেছিল - আশেক উল্লাহ রফিক এমপি


৭৫ এর ষড়যন্ত্রকারীরা বোকার স্বর্গে বাস করেছিল - আশেক উল্লাহ রফিক এমপি

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৬টি তাজা প্রাণের শহিদের স্বরণে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত শোক সভার আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধের স্বপ্নে বিভোর হয়ে, প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্রে সেদিন যারা লিপ্ত ছিল আজকের বাস্তবতায় তারা মূলত বোকার স্বর্গে বাস করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তীকালের কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ইতিহাস বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, " ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বাংলাদেশ থেকে প্রগতিশীল রাজনীতি মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোচ্চার তৎকালীন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের অনেকেই এখন বেঁচে নেই। ৭৫ পরবর্তী রাজনীতি করা আজকে যারা মঞ্চে উপবিষ্ট আছেন এবং পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব্ববর্ত্তী প্রজন্মের আমার বাবাদের মত যারা ছিলেন এ-ই দুইটি প্রজন্মের যে সেতু বন্ধন তার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি আমরা। আর সেই একই সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত দিবস পালন করছি। পঁচাত্তর পরবর্তী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন সূর্যের উদয় সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তার যে ধারাবাহিক উন্নয়ন তা বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়ে যায় শেখ হাসিনার নতুন দিগন্তের রাজনীতির সূচনায়। বঙ্গবন্ধু যেভাবে ধারাবাহিকভাবে উন্ননয়শীল প্রগতির ধারায় নতুন বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিয়েগিয়েছিল তা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা তার ৩য় মেয়াদে ধারাবাহিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে। শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, এই আগস্ট মাস আসলে আমরা দেখি ষড়যন্ত্রকারীরা পূণর্জিবিত হয়। বার বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১শে আগস্টে আগস্ট মহিলা নেত্রী আইভি রহমান সহ ১৭ জনকে হত্যার মধ্যদিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা আবারো প্রগতির ধারা ব্যহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রধানমন্ত্রীকে কোড করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর দুই তনয়াকে বাঁচাতে পারলেও আজকের বাস্তবতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। এবং এ-ই ষড়যন্ত্র সরকার উৎখাত নয় বরং শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যদিয়ে এদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে রুখে দেওয়া। মেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি নেতা কর্মীকে শোককে শক্তিতে পরিণত করার মধ্যদিয়ে যেভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমরা স্লোগান দিয়েছিলাম "এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে, এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্মনিবে" তেমনিভাবে আজকের দিনের বাস্তবতায়ও টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, পঞ্চগড় থেকে পাটুরিয়া, এ-ই কুতুবদিয়া থেকে সেন্টমার্টিন কক্সবাজার জেলায় নওফেল ভাইয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানন্ত্রীর কাছে ম্যাসেজ পৌঁছাতে চাই বাংলাদেশের জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বড় সাফল্য এবং উন্নয়ন অবকাঠামোর বিষয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রকল্প, মহেশখালীর মাতারবাড়ির মত বড় মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে, শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ ফরিদুল ইসলামের মের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিব রহমানসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।। প্রেস উইং কক্স-২