loader

Asthma Check Food

location_onAnderkilla more
এ্যাজমা সম্পর্কে জানুন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখুন
আমাদের ভিশন, এ্যাজমা রাখব নিয়ন্ত্রণ
নেই কোন ভয়, এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ হয়।

প্রাথমিক কথাঃ এ্যাজমা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসক আপনি নিজেই। ডাক্তার কেবল আপনার পরামর্শদাতা। আর এসব কিছু নির্ভর করছে আপনি আপনার রোগ সম্পর্কে কতটুকু জানেন শুধু তার উপর। অনেকেই এ্যাজমা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নেই অথবা এ্যাজমা হলে কি করণীয়। এ্যাজমা রোগীদের এ্যাজমা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে ক্ষুদ্র প্রয়াস।

হাঁপানি বা এ্যাজমা কি?
হাঁপানি বা এ্যাজমা হলো ফুসফুসের একটি রোগ যা সবাই বয়সের মানুষের হতে পারে। যাদের হাঁপানি বা এ্যাজমা আছে তাদের ফুসফুসের শ্বাসনালী সাধারণ লোকজনের শ্বাসনালীর তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর অর্থাৎ সামান্য কারনেই শ্বাসনালীর খিঁচুনি হয়।

এ্যাজমা সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে, যা সত্যি নয়ঃ
১- এ্যাজমা কখনোই ছোঁয়াচে / সংক্রামক রোগ নয়।
২- এ্যাজমা রোগের কোন চিকিৎসা নেই তা সত্যি নয় বরং চিকিৎসার মাধ্যমে এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩- ইনহেলার নিলে অন্য কোন ঔষধ কাজ করবে না ; এটি সম্পূর্ণ ভূল ধারণা।
৪- ইনহেলার এ্যাজমার প্রাথমিক, সর্বাপেক্ষা ও নিরাপদ চিকিৎসা।

এ্যাজমার কারণঃ
এ্যাজমার কারণ এখনো অস্পষ্ট। নিম্নোক্ত ২ টি কারণে এ্যাজমা হতে পারে।
১- বংশগত কারণ
-২- বাচ্চা বয়সে ব্রংকিওলাইটিস বা নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়া।

এ্যাজমার প্রধান ৪ টি উপসর্গ হলো?
১- শ্বাসকষ্ট।
২- কাশি।
৩- বুকের ভিতর বাঁশীর মত সাঁ সাঁ করে শব্দ হওয়া।
৪- বুকে আঁটসাঁট বা দমবন্ধ ভাব অনুভব করা।
এ্যাজমার উত্তেজক সমূহঃ
যে সকল জিনিস এ্যাজমার আক্রমণকে তরান্বিত করে তাদের এ্যাজমা উত্তেজক বলা হয়। এ্যাজমার উপসর্গ উত্তেজক সমূহ রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে। সাধারণ উত্তেজক সমূহ নিম্নরূপঃ
- ঠান্ডার আক্রমণ।
- ধুলাবালির আক্রমণ।
- আ্যরোসেল বা স্প্রে।
- ধূলায় বসবাসকারী কীট মাইট।
- ম্যাট বা কার্পেট।
- ধোঁয়া।
- পশুর পশম।
- কিছু খাবার( চিংড়ি, ইলিশ, গরুর মাংস, হাঁসের মাংস ও ডিম।
- মানসিক দুঃচিন্তা।
- আবহাওয়ার তাপমাত্রা তারতম্য।
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম।
এ্যাজমা হলে করণীয়ঃ
- বাড়ীঘর পরিষ্কার রাখুন।
- পরিষ্কার এবং কড়া রোদে শুকিয়ে বিছানার চাদর, বালিশ ব্যবহার করুন।
- মানসিক ভাবে শান্ত থাকুন। এবং নিয়ম মেনে চলুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
- নিয়মিত চেক-আপ করুন।

এ্যাজমা হলে বর্জনীয়ঃ

× এ্যাজমার উত্তেজক সমূহ ( যা এ্যাজমা আক্রমণকে ত্বরান্বিত করে) এড়িয়ে চলুন।
×ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
× ম্যাট্রেস বা কার্পেট জাতীয় জিনিস এড়িয়ে চলুন।
×ঠান্ডা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া এড়িয়ে চলুন।
× এ্যাজমাকে অবহেলা করবেন না।

এ্যাজমার চিকিৎসাঃ

এ্যাজমার চিকিৎসায় প্রধানত দুই ধরণের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১- উপশমকারী ঔষধঃ এ-ই ঔষধ গুলোকে শ্বাসনালী প্রসারক ঔষধ বলে। এরা সংকুচিত হয়ে যাওয়া শ্বাসনালী দ্রুত প্রসারিত করে। এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা দুর করে স্বাভাবিক শ্বাস নিতে সাহায্য করে।

২- বাধাদানকারী বা প্রতিষেধক ঔষধঃ
এ সকল ঔষধ এ্যাজমার উত্তেজকগুলোর প্রতি শ্বাসনালীর সংবেদনশীলতা কমানোর জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়। বাধাদানকারী বা প্রতিষেধক ঔষধের নিয়মিত ব্যবহার হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।

এ্যাজমা কি কখনো ভালো হয়?

বর্তমানে এ্যাজমা সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ দেওয়ার পর রোগীর উপসর্গ দেখা যায় না বললেই চলে। রাতে শ্বাসকষ্টে ঘুম ভাঙ্গে না। রোগী প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করে।

এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে কি বিপদ হতে পারেঃ

- য কোন সময় মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- অক্সিজেন কম থাকায় সব সময় অবসাদগ্রস্ত হতে পারে।
- অক্সিজেনের অভাবে স্মৃতি শক্তি কমে যেতে পারে।
এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ আছে বুঝবেন কিভাবে?
- এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ আছে ( যখন ভাল থাকেন)
- দিনে বা রাতে কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে শব্দ, বুক চেপে আসা থাকে না।
- স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় না।
- ইদানিং কোন এ্যাজমার টান উঠে নি
- উপশমকারী ঔষধের প্রয়োজন হয় না।

এ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে ( যখন ভাল নেই)ঃ

- দিনে এবং রাতে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে শব্দ বুকে চেপে আসা।
- স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
- ইদানিং এ্যাজমার টান উঠছিল।
- প্রায়ই উপশমকারী ঔষধ প্রয়োজন হয়।

অ্যাজমা চেক ফুডঃ

শ্বাসকষ্ট বা হ্যাঁপানি,যে কোন ঠান্ডা জনিত কাশি, ব্রঙ্কাইটিস রোগের জন্য সর্বোচ্চ 15 দিনে ম্যাজিকের মত কার্যকর। ঠান্ডা জনিত এলার্জির জন্য জাদুকরি কাজ করে অ্যাজমা চেক ফুড।

যোগাযোগ - ০১৮১৫৯৫৬৯১১
Type New
Price
Order Buy Now

Setting Pannel

Style Setting
Theme

Menu Style

Active Menu Style

Color Customizer

Direction
settings
Share
Facebook
Twitter
Instagram
Google Plus
LinkedIn
YouTube