চট্টগ্রামে ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০০ অংশগ্রহনকারী নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।


ট্টগ্রামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ডিজিটাল অক্ষর গাড়ি প্রকল্পের আওতায় ১০০ স্কুল-মাদ্রাসার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো "শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শীর্ষক" কর্মশালা। 

আজ শনিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু হল রুমে জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড বিজয়ী সংস্থা অক্ষর গাড়ি ও গ্রাসরুট আইটির পক্ষ থেকে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি তারেক আজিজ মাসউদ এর সভাপতিত্বে এবং সংস্থার সদস্য নিপা দাশ এর সঞ্চালনায় কর্মশালা পরিচালনা করেন জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রোগ্রাম এর ইয়ুথ কোঅর্ডিনেটর জনাব মাহমুদ হাসান

কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

সকাল ৯টায় জাতীয় সঙ্গিতের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মশালা। কর্মশালা শেষে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য শেষে শুরু হয় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর প্যানেল ডিস্কাশন।

প্যানেল ডিস্কাশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শাহাদাত হোসেন, অভিভাবকদের পক্ষ হতে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর পক্ষ থেকে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব শহিদুল ইসলাম

প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডটা এখন বিশাল একটা জগত, ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড রিয়েল ওয়ার্ল্ডের চেয়ে বড়। এখানে যেমন সুযোগ আছে, তেমনি অনেক ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। অনেকে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড ব্যবহার করে নিজেদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। ইন্টারনেটে দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে জোর দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমাদেরকে ভাষা দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী হতে। বিভিন্ন ভাষার দক্ষতা কর্মক্ষেত্রে বড় সফলতা আনার পাশাপাশি নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করে।

হতে। বিভিন্ন ভাষার দক্ষতা কর্মক্ষেত্রে বড় সফলতা আনার পাশাপাশি নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করে। তিনি আরোও বলেন, আমরা অনেকেই আরবী তেলায়াত করতে জানি কিন্তু অর্থ সহ আরবি ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে জানিনা। বিভিন্ন ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে জানা প্রয়োজন। অনেক দেশে কর্মী সংকট রয়েছে সেখানে আমাদের দক্ষ জনশক্তি যুক্ত করতে হলে বহু ভাষায় দক্ষ হওয়াও জরুরী।

সাইবার বুলিং এর বিষয়ে তিনি বলেন, “অনেকেই ফেজবুকে গা’লী দিয়ে চলে যায়। সে ভাবে আমাকে কেউ খুজে পাবে না, কিন্তু এটিও যে একটি ক্রাইম সেটি সে ভেবে দেখে না। অনেকেই উগ্র মানসিকতা প্রকাশ করেন। সামান্য একটা সহজ কথা- “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই কথাটিতেও অনেকে প্রতিক্রিয়াশীল আলোচনা করে, ঝগড়া মন্তব্য করে, যেগুলোর ধর্মীয়ভাবেও সত্যতা বা গ্রহণযোগ্যতা নাই।

গুজবের বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, এসএসসি এইচ এস সি পরীক্ষার সময় দেখা যায় বিকাশে টাকা চায় অনেকে প্রশ্ন প্রদান করবে এই কথা বলে, আমাদেরকে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এইসব গুজব আমাদের পরিহার করতে হবে। অনেকেই ধর্ম ব্যবহার করে মনগড়া ব্যাখ্যা প্রদান করে, সোশ্যালমিডিয়ায় ভিউ পাওয়ার আশায়, যাদের অনেকের সেই বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতাও নাই।

 

শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রোগ্রামিং ভাষা চর্চাও সাহিত্য চর্চার মতন। লজিক শেখা।